বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : আগামী ২৯ ডিসেম্বর ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় একটি পৌরসভা ও তিনটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের দুই স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এসময় এক প্রার্থীর দুইজন রকি (৩৫) ও ইনামুল (৩০) আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছে।
রকির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার রকি বাদি হয়ে থানায় ৭জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। মামলায় একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে ফরিদপুর আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। মামলা সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আহসান উদ্দৌলা রানার সমর্থক ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব মিয়া পান্নুর সমর্থকদের মধ্যে টিকেরপাড়া গ্রাম এলাকায় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে এ মারামারি হয়।
মারামারিতে রানার দুই সমর্থক আহত হয়ে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সমর্থক রকির অবস্থা আশঙ্কজনক হওয়ায় তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ ব্যাপারে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আহসান উদ্দৌলা রানা বলেন, টিকের পাড়া গ্রামে আমার চশমা মার্কার কর্মীরা ভোট চাইতে গেলে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল ওহাব পান্নুর লোকজন বাধা দেয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুই কর্মীকে পিটিয়ে যখম করে। আমার আহত কর্মী রকির হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল ওহাব পান্নুর মোবাইলে (০১৭১৬৬৮১৮০০) একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় আলফাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আবু তাহের এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে বুধবার ফরিদপুরের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।